মানবদেহের বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কোষের কার্যকারিতা কমতে থাকে, ফলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দুর্বল হয়ে পড়ে। বার্ধক্যজনিত এ পরিবর্তন রোধে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করছেন বিজ্ঞানীরা। এবার জাপানের ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক এমন একটি প্রোটিন (এপি২এ১) আবিষ্কার করেছেন, যা বার্ধক্য ঠেকানোর পাশাপাশি কোষের ক্ষতি মেরামত করতে পারে।
প্রোটিন এপি২এ১-এর কার্যকারিতা:
১. বার্ধক্যের গতি কমানো – শরীরের জৈবিক ঘড়িকে পেছনে নিয়ে যেতে সক্ষম
২. সেল রিপ্রোগ্রামিং – পুরোনো কোষকে তরুণ কোষে রূপান্তর
৩. জম্বি কোষ নিয়ন্ত্রণ – সেনসেন্ট কোষের বৃদ্ধি বন্ধ করে কার্যকারিতা পুনরুদ্ধার
৪. বয়স-সম্পর্কিত রোগ প্রতিরোধ – আলঝেইমার, আর্থ্রাইটিসের মতো রোগের সম্ভাব্য প্রতিকার
৫. কোষ বিভাজন পুনরায় সক্রিয়করণ – কোষের স্বাভাবিক আকার ও কর্মক্ষমতা ফিরিয়ে আনা
ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী পিরাওয়ান চান্টাচোটিকুল জানিয়েছেন, এই গবেষণা মানবদেহে বার্ধক্য ঠেকানোর নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে এবং ভবিষ্যতে দীর্ঘায়ু ও সুস্থতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
0 Comments