OpenAI Sora এলে কি ছবি-ভিডিয়ো এডিটররা কাজ হারাবেন? না ঘাবড়ে সত্যিটা জানুন

ওপেনএআই সোরা টুল কবে আসতে চলেছে তা  OpenAI Sora এলে কি ছবি-ভিডিয়ো এডিটররা কাজ হারাবেন? না ঘাবড়ে সত্যিটা জানুন জানিয়ে দিল সংস্থা। এদিন সংস্থার সিটিও মিরা মুরতি দিনক্ষণ জানিয়ে দেন। এই টুল চ্যাটজিপিটির থেকে আলাদা। সামান্য প্রম্পট/বর্ণনা দিলেই তৈরি হবে 60 সেকেন্ডের ভিডিয়ো। যা দেখে নকল-আসল বুঝতে পারা যাবে না। আলোড়ন ফেলে দেওয়া এই টুল 2024 সালেই আপনার স্মার্টফোন ডেস্কটপে হাজির হতে পারে।

OpenAI Sora

চমক ফেলে দিয়েছে ওপেনএআই সোরা। সংস্থার সিটিও মিরা মুরতি জানিয়ে দিলেন, 2024 সালে জনসাধারণের জন্য হাজির হবে এই টুল। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিটি যতটা চোখ ধাঁধানো ঠিক ততটাই উদ্বেগজনক ছবি-ভিডিয়ো এডিটরদের জন্য। কারণটা খুবই স্বাভাবিক।

যে ভিডিয়ো বা ছবি এডিট করার জন্য এডিটরদের বর্ণনা দেওয়া হয় তা যদি ওপেনএআই সোরাকে দেন তাহলে নিখুঁত ভিডিয়ো হাজির করবে প্রযুক্তিটি। আর সেই ভিডিয়োতে কোনটা আসল বা নকল তা খুঁজে বের করা কঠিন হবে বলে মনে করছেন এআই বিশেষজ্ঞরা।

টেক্সট টু ভিডিয়ো

ওপেনএআই সোরা পরিচিত টেক্সট টু ভিডিয়ো প্ল্যাটফর্ম হিসাবে। চ্যাটজিপিটি বা যে কোনও এআই টুলকে যে বর্ণনা বা প্রম্পট দেন ঠিক সেরকমই প্রম্পট দিতে হবে এখানে। তাহলে 60 সেকেন্ডের একটি ভিডিয়ো তৈরি করে দেবে সে। তবে এর জন্য প্রয়োজন কয়েক লাখ ডেটার। আর তা কোথা থেকে পাব ওপেনএআই? এই নিয়েই সমালোচনার মুখে পড়েছে সংস্থা।

বিশ্বের একাধিক দেশে কঠোর ডেটা প্রোটেকশন আইন রয়েছে। আর সোরা পরিচালনা করতে গিয়ে সেই আইন ভাঙার সম্ভাবনা বাড়তে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। ইতিমধ্যে ইতালি 20 দিন সময় দিয়েছে ওপেনএআইকে ডেটা সোর্স জানানোর জন্য। যদিও মিরা মুরতি জানিয়েছেন, পাবলিক ডোমেইনে যে ডেটা রয়েছে এবং যে ডেটার জন্য তাদের লাইসেন্স রয়েছে সেটাই ব্যবহার করা হবে।

মানুষকে প্রতিস্থাপন করবে না

ওপেনএআই-সহ একাধিক এআই সংস্থা জানিয়েছে, এই টুলগুলি মানুষের সাহায্য করার জন্য আনা হয়েছে, নাকি মানুষকে প্রতিস্থাপন করার জন্য। যা শুনে ছবি-ভিডিয়ো এডিটররা কিছুটা হলেও স্বস্তি পেতে পারেন। তবে উদ্বেগ যে কাটছে না তা বলাই যায়। কারণ এই টুল যত সহজলভ্য হবে ততই সুযোগ কমবে এডিটরদের।

ওপেনএআইকে টেক্কা দিচ্ছে LTX স্টুডিও

আপনি যদি ভেবে থাকেন ওপেনএআই একমাত্র যারা টেক্সট টু ভিডিয়ো টুল এনেছে তাহলে আপনি ভুল হবেন। কারণ এই দৌড়ে ইতিমধ্যে চলে এসেছে আর এক সংস্থা এলটিএক্স স্টুডিও। যারা টেক্সট দিয়ে ভিডিয়ো নয়, বানাতে পারে গোটা সিনেমা। এবং এটি ইতিমধ্যে ইউজারদের জন্য চালু হয়ে গিয়েছে। অনবদ্য ভিজ্যুয়াল স্টোরি বানিয়ে দিতে পারে এলটিএক্স স্টুডিও।

সবমিলিয়ে আগামীদিনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যে আরও বেশি চোখ ধাঁধিয়ে দিতে চলেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।


Data Collected By: TonmoyKundu 

Post a Comment

0 Comments