আসুন জেনে নেই - যেভাবে বাংলা ব্লগ সাইট শুরু করে অর্থোপার্জন করবেন



আসুন জেনে নেই - যেভাবে বাংলা ব্লগ সাইট শুরু করে অর্থোপার্জন করবেন

অর্থোপার্জনের জন্য বাংলা ব্লগ সাইট শুরু করা বর্তমান সময়ের জন্য উপযুক্ত একটা আইডিয়া। আপনার যদি অনলাইন সম্পর্কে কোন গভীর জ্ঞান না থাকে, তাহলেও আপনি একটা বাংলা ব্লগ সাইট থেকে ইনকাম করতে পারবেন। আপনাকে শুধু জানতে হবে কিভাবে ব্লগিং শুরু করবেন! আমি নিজেও এই ব্লগিং শুরু করে আয় করতে অনেক বাধার সম্মুখীন হয়েছি। বর্তমানে আমি নিজেক একজন দক্ষ মাস্টার মনে করি ব্লগ বিষয়ে।

  • নতুনরা কিভাবে ব্লগিং শুরু করবে?
  • তাদেরপক্ষে ব্লগের মাধ্যমে অর্থোপার্জন করা কি সত্যিই সম্ভব?
  • নতুনরা কি ব্লগিং থেকে জীবিকা নির্বাহ করতে পারবেন?

এমন অনেকগুলো প্রশ্ন একসময় আমি নিজেও করেছি৷ কিন্তু আমার প্রশ্ন গুলোর সঠিক উত্তর দেওয়ার মতো কাউকে আমি খোঁজে পাইনি। তাই নিজেকে আরও বেশি কষ্ট করতে হয়েছে। বর্তমানে ইনশাআল্লাহ অনেক ভালো করছি এবং আরও ভালো কিছু আশা করছি।

অর্থোপার্জনের জন্য কিভাবে বাংলা ব্লগ সাইট শুরু করবেন?

অর্থোপার্জনের জন্য ব্লগিং (Blogging) কোনো তাত্ত্বিক ধারণা নয়, তবে এটি একটি বাস্তবতা। ব্লগিংয়ের কিছু প্রাথমিক জ্ঞান, এসইও এবং ইন্টারনেট কিভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে একটি সাধারণ ধারণা থাকলেই একজন ব্যক্তি ‘Blogging’ ব্যবসা শুরু করে অর্থোপার্জন করতে পারে।

Starting Bangla Blog
ব্লগাররা (blogger) কিভাবে অর্থ উপার্জন করে?

নতুনদের জন্য একটি বিরাট প্রশ্ন। এর উত্তর হিসেবে আপনি এখন যে ব্লগটি পড়ছেন তা অর্থোপার্জনকারি ব্লগারের বাস্তব জীবনের উদাহরণ। এই গাইডের উদ্দেশ্য হলো: নতুনদের ভুল ভাবনা থেকে বের করে আনা এবং ‘Blogging’ এর জন্য আপনার মূল লক্ষ্যে অবদান রাখবে এমনকিছু মূল্যবান কাজের পদ্ধতি কৌশল নতুনদের জানানো। ব্লগের মাধ্যমে অর্থোপার্জনের জন্য আপনার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো কি কি, তা বুঝতে সহায়তা করা। আমার মনে আছে। আমি যখন ২০১৬ সালে বাংলা ব্লগ সাইট করেছিলাম। ‘Blogging’ কিভাবে আমাকে অর্থোপার্জনে সহায়তা করতে পারে? তা বুঝতে খুব অসুবিধা হয়েছিল।

কন্টেন্ট লিখা, ছবি যুক্ত করা, ব্লগে প্রকাশ করা এবং মার্কেটিং করা ইত্যাদি বিষয়গুলো জানতে আমার অনেক সময় লেগেছিল। আশা করা যায়, এই লেখাটি ধাপে ধাপে গাইড করে আপনাকে প্রথম থেকেই সঠিক পথে নিয়ে যাবে। এবং কাজ শুরু করার জন্য আপনাকে একটি সহজ পরিকল্পনা তৈরিতে সাহায্য করবে। যা দ্রুত আপনাকে সফলতা এনে দিতে কাজ করবে।

বাংলা ব্লগ সাইট

কিভাবে ব্লগিং শুরু করব তার বিস্তারিত আলোচনায় যাওয়ার আগে, এখন থেকে কিছু কথা স্পষ্ট করে বলি। ব্লগিং আসলেই সহজ কাজ নয়, এতে অনেকগুলো কৌশলের ব্যবহার সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া রয়েছে। যার প্রচুর ধর্য্য লক্ষ্য ঠিক রাখার শক্তি আছে। সে ব্যক্তি বিশ্বের অন্যতম সেরা এবং টাকা ইনকাম করার এই কাজটি করতে পারবে।

All Bangla Blog Sites


একটি সফল ‘Blogging’ ব্যবসা তৈরির পুরষ্কারটি কেবল টাকার জন্য নয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো কৃতিত্বের অনুভূতি এবং অন্য কারো উপর নির্ভর না করা। নিজের প্রতিভা এবং শক্তিগুলোর উপর নির্ভর করে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করার তৃপ্তি হচ্ছে ব্লগিংয়ের আসল পুরস্কার।

হ্যাঁ, এটি সত্যিই আপনাকে তৃপ্তি দেবে, তবে তিক্ত অনুভব করার পর।

আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন যেব্লগ দিয়ে কিভাবে অর্থ উপার্জন করবেন?” নিয়ে অনলাইনে এতগুলো গাইডলাইন রয়েছে কেন?
আপনার মনে প্রশ্ন আসে, কেন একজন ব্লগার তার মূল্যবান জ্ঞানকে সবার জন্য ফ্রি-তে সরবরাহ করে?

উত্তরটি সহজ। অনলাইনে অর্থোপার্জন করার মাধ্যমে এমন এক পর্যায়ে পৌঁছানো। যেন শুধু ইনকাম নয়। বরং একজন বিশ্বের সেরা একজন সম্মানিত মানুষ হতে পারা।

বাংলা ব্লগ সাইটগুলি হলঃ 

Adibasee Blog

Amar Bornomala

Amar Thikana

Amar Bangla

Amra Bondhu

Amaderrajshahi.com

Ananda Bazar

Anukabbo

Bangali Blog

Bangla Blog

Bangla Kobita

Banglai Online Blog

Blog bdnews24

Bishorgo.com

Biggani.com

Bokolom Blog

Bolte Chai Moner Kotha

Biborton Bangla

Biggan Projukti

Cadet College Blog

Choturmatrik

Coffee Houser Adda

Drishtipat Blog

Ekushey Blog

Ekushey TV Blog

Ever Green Bangla

Ekusheyblog

Globalvoicesonline

Jeebonzatra Blog

Muktangan Nirmaaan Blog

Mukto Blog

Mukto-Mona Blog

Nirmaaan

Mon chobi Blog

Nree.org

Nagorikblog.com

Nilanchol Bangla Blog

Nature.com.bd

Pechali Blog

Opest Blog

Ojana Info

Priyo Blog

Prothom Alo Blog

Rongdhonu

Rongmohol.com

Sonarbangladesh.com/blog

Somewhere in Blog

Shamokaldarpon

Shopnobaz Blog

Shoily Blog

Sobkichu Blog

Sabuj Bangla Blog

Sachalayatan

Shobdoneer Blog

Shodalap

Technology Today

Techtunes

Techmaster Blog

Youthmedia

FORUM

Al-Ihsan Forum

Amader Projukti Forum

Amader Dunia Forum

ID Bangla Forum

Projanmo Forum

RMC Forum

Science & Technology

Trivuz Bangla Forum

Alor Nishan

Alor Nishan

বাংলা ব্লগ সাইট শুরু করার জন্য ৭টি ধাপ অনুসরণ করুন:

ইনকাম করার কথাগুলো শুনতে খুব সহজ মনে হচ্ছে! প্রকৃতপক্ষে, কয়েকটি পদ্ধতি বেশ সোজা, তবে কিছু কাজের ক্ষেত্রে জটিলতা রয়েছে। এই কাজ করতে আপনাকে যথাযথ জ্ঞান, সঠিক সরঞ্জাম এবং প্রচুর ধৈর্য সহ নিজেকে সজ্জিত করতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কিভাবে বাংলা ব্লগ সাইট শুরু করবেন?

০১. আপনার নিজস্ব ডোমেইন হোস্টিং ক্রয় করে ব্লগ সেটআপ করুন:

এটি সম্ভবত সবচেয়ে সহজ ধাপ। একটি ডোমেন নাম এবং হোস্টিং প্ল্যান রেজিষ্ট্রেশন করে একটি ব্লগ সেট-আপ করা খুব সহজ। কাজ করতে আপনার যা দরকার তা কিছুটা ডেভেলপারের সহায়তা এবং সঠিক দিক নির্দেশনা। যা আপনি আমাদের এই লেখাতে পাবেন। ব্লগ কিভাবে সেট-আপ করতে হয়, সে সম্পর্কে আমি বিস্তারিত বিবরণে যাব না, তবে সুসংবাদটি ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগিংয়ের সম্পূর্ণ নির্দেশিকা এবং সাপোর্ট আমাদের কাছ থেকে পাবেন। যার জন্য আমাদেরকে কোনো টাকা পেমেন্ট করতে হবে না। তবে প্রিমিয়াম সাপোর্টের জন্য পেমেন্ট প্রয়োজন হবে।

  • কিভাবে একটি ডোমেন হোস্টিং রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে?
  • কিভাবে ওয়ার্ডপ্রেস সেট-আপ করবেন?
  • আপনার প্রথম ব্লগ পোস্ট কিভাবে প্রকাশ করবেন?

এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে পারলেই আপনি সফলভাবে ব্লগিং শুরু করতে পারেন। ব্লগিংয়ের শুরুতে ভুল করা স্বাভাবিক। আপনি নিজের ভুলগুলো থেকে শিখেন এবং সেগুলো পুনরায় সংশোধন করার মাধ্যমে দক্ষ হয়ে উঠবেন। যখন কোনো ব্লগ শুরু করার কথা আসে, তখন এই পরামর্শগুলো অবশ্যই মনে রাখবেন।

অনলাইনে অর্থোপার্জন করতে আপনার লক্ষ্য ঠিক রাখুন:

আপনার লক্ষ্য এমন একটি পয়েন্টে পৌঁছানো উচিত, যেন আপনি নিজের ব্লগ থেকে অর্থোপার্জন শুরু করতে পারেন। আপনার লক্ষ্য কখনও ভুলে যাওয়া উচিত নয়। আমি এটি আবার উল্লেখ করছি। কারণ, আমার অভিজ্ঞতা থেকে জানি যে, এটি সবচেয়ে কমন ভুল। ওয়েবসাইট তৈরির কিছুদিন পর যখন ট্রাফিক আসবে না, তখন ৯০% ব্লগার হতাশ হয়ে যায়। কিন্তু এর জন্য হতাশ হওয়ার কোনো কারন নেই। এটা সহজ কিছু কাজ করার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব।

প্রথমত ওয়েবসাইটের ডিজাইনটি গুরুত্বপূর্ণ। সাইটের ডিজাইন স্ট্রাকচার্ড ঠিক না থাকলে গুগল আপনার সাইটের টেকনিক্যাল সমস্যার জন্য প্যানেল্টি দিতে পারে। এজন্য সাইটের ডিজাইন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

দ্বিতীয়ত আপনার নিজস্ব ডোমেন এবং হোস্টিং থাকা দরকার:

ফ্রি ডোমেইন হোস্টিং এবং আপনার নিজের ক্রয় করা প্রিমিয়াম ডোমেইন হোস্টিংয়ে ওয়েবসাইট সেট-আপ করার মধ্যে অনেক বড় পার্থক্য রয়েছে। এজন্য শুরু থেকেই সঠিক সিদ্ধান্ত নিন এবং সঠিক প্ল্যাটফর্ম পছন্দ করুন। অনলাইন থেকে আয় করতে একটি স্ব-হোস্টেড ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট আপনার সেরা পছন্দ সঠিক প্লাটফর্ম।

ডোমেইন হোস্টিং ক্রয় করতে সেরা কোম্পানির কাছ থেকে সার্ভিস ক্রয় করুন:

শক্তিশালী হোস্টিং প্ল্যান ক্রয় করতে কখনও ভুল করবেন না। ভুল করলে আপনার ‘Blogging’ ক্যারিয়ারের শুরুটা শুরুতেই ভুল দিকে এগিয়ে যাবে। এজন্য নতুন ব্লগারদের উচিত নিজের ব্লগটা একটা শক্তিশালী দ্রুতগতির হোস্টিংয়ে হোস্ট করা।

  • HostGator
  • Namecheap
  • BlueHost

এসব জনপ্রিয় কোম্পানির কাছ থেকে হোস্টিং প্ল্যান ক্রয় করতে অবশ্যই চেষ্টা করবেন। এই কোম্পানিগুলো আমাদের সাজেস্ট করা কোম্পানি। তবে এমন না যে এই কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে আপনাকে ডোমেইন-হোষ্টিং ক্রয় করতে হবে। আপনি আপনার পছন্দের যেকোন ভালো কোম্পানির কাছ থেকে ডোমেইন হোস্টিং ক্রয় করতে পারেন। আরও বিস্তারিত জানতে গাইডলাইনটি পড়ুন

যদি আপনি ইতিমধ্যে ব্লগ শুরু করে থাকেন, তবে সবকিছুকে যতটা সম্ভব সহজ করার চেষ্টা করুন। কোনো বিষয়কে অত্যধিক জটিল করবেন না। আমাদের উপরের আলোচনার মূল কথা হচ্ছে। প্রথমে আপনাকে ওয়েবসাইট তৈরি করতে দ্রুতগতির হোস্টিং প্ল্যান ক্রয় করতে হবে এবং নতুন সাইট সেটআপ করতে হবে। নতুন হিসেবে আপনার অনেক কিছু শেখার আছে এবং আপনি যখন এগিয়ে যাবেন, অনেক কিছুই সম্পর্কে আপনার জানা হবে। সুতরাং সহজে এগিয়ে যেতে সময় এবং শক্তি সাশ্রয় করুন।

০২: কন্টেন্ট তৈরি এবং প্রকাশ করা শুরু করুন:

আমাদের পূর্বের আলোচনার মধ্যে আপনার জন্য একটি উপযুক্ত ওয়েবসাইট তৈরির নির্দেশনা নিয়ে আলোচনা করেছি। এখন সময় এসেছে যে ব্লগিংয়ের অন্যতম কঠিন এবং চ্যালেঞ্জিং কাজের। যা আপনার ব্লগের জন্য খুবই শক্তিশালী উপাদান হিসেবে কাজ করে।
এটা মনে রাখবেন, কোনো কন্টেন্ট নেই এমন ব্লগের কোনো মূল্য নেই। কন্টেন্ট হচ্ছে আপনার ব্লগের প্রধান বিষয়।

এটিই হচ্ছে সবচেয়ে কঠিন কাজ। দুর্দান্ত কন্টেন্টসহ একটি ব্লগ অর্থোপার্জন করার জন্য সেরা ব্যবসা। দুর্দান্ত কন্টেন্ট আপনাকে ট্র্যাফিক সংগ্রহ করতে সাহায্য করবে। বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনে সাহায্য করবে এবং আপনাকে অর্থ উপার্জনের জন্য দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাবে।

তো, দুর্দান্ত কন্টেন্ট কি? এবিষয়ে একটু জেনে নেওয়া যাক:

ব্লগের কনটেন্টগুলো অবশ্যই আনইউনিক হতে হবে: ছবি, ভিডিও, ইনফোগ্রাফিক বা অডিও এসব উপাদান সমূহকে কন্টেন্ট বলা হয়। সহজ কথায় দুর্দান্ত কন্টেন্ট হচ্ছে, গুগলে উচ্চ ্যাঙ্কিং অর্জনের উদ্দেশ্যে আপনার কন্টেন্টগুলো যেকেউ সহজে পড়তে পারে এমন বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন হওয়া।

দুর্দান্ত কন্টেন্টের নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে:

  • ৯৯% আনইউনিক কন্টেন্ট হতে হবে
  • বানান এবং ব্যাকরণ ঠিক থাকতে হবে
  • দৃষ্টিগোচর হবে হবে
  • অর্থবোধক হতে হবে
  • নিরপেক্ষ হবে
  • এটি মানুষকে বুঝতে/শিখতে সহায়তা করবে
  • সহজে পড়া যাবে ইত্যাদি।

উপরের বৈশিষ্ট্যগুলো থাকলে আপনার কন্টেন্টটি একটা গ্রেট কন্টেন্ট বলা যায়।

০৩: আপনার ব্লগে অর্গানিক ট্র্যাফিক নিয়ে আসুন:

চলুন অর্গানিক ভিজিটর সংগ্রহের প্রক্রিয়াটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাক। আপনার প্রথম ধাপটি ছিলো আপনার নিজের ডোমেন এবং হোস্টিং প্ল্যান রেজিষ্ট্রেশন করা এবং আপনার ব্লগ সেট আপ করা। দ্বিতীয় ধাপটি ছিলো ব্লগে গ্রেট কোয়ালিটির কন্টেন্ট পোস্ট করা। এখন সময় আসলো আপনার ব্লগে অর্গানিক ট্রাফিক বৃদ্ধি করার।

অর্গানিক ট্রাফিক কি?

ব্লগ থেকে অর্থোপার্জনের জন্য আপনার অর্গানিক ট্র্যাফিকের প্রয়োজন। অর্গানিক ট্রাফিক বেশিরভাগ গুগল থেকে পাওয়া যায়।
অর্গানিক ট্র্যাফিক অন্যান্য ভিজিটরদের চেয়ে মূল্যবান। গুগলের সার্চ বাক্সে কোনো ব্যবহারকারি যেটা টাইপ করেন সার্চ করেন, তার একটা স্পষ্ট উদ্দেশ্য থাকে। ব্যবহারকারি হয়তো কোন প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন, কিছু শিখতে চাচ্ছেন, অথবা কোনও পণ্য কিনতে চান।

উদাহরণস্বরূপ: কোনো ব্যবহারকারিবাংলা ব্লগ সাইট থেকে আয় করার কতগুলো উপায় আছে?” এই প্রশ্নটি লিখে সার্চ করছেন। এই প্রশ্নের দ্বারা এটি স্পষ্ট যে, তিনি বাংলা ব্লগ সাইট থেকে কত উপায়ে আয় করা যায় সে সম্পর্কে ধাপে ধাপে গাইড খুঁজছেন। ব্যবহারকারিদের মনের প্রশ্ন বুঝা এবং সেই প্রশ্ন নিয়ে তথ্য বহুল কন্টেন্ট তৈরি করা হচ্ছে গুগল থেকে অর্গানিক ডিজিটর পাওয়ার জন্য উত্তম পদ্ধতি। আপনি যখন এটি সঠিকভাবে বুঝতে পারবেন, তখন ব্লগ পোস্টগুলো গুগলে সবার উপরে ্যাঙ্ক করবে। এবং আপনি আপনার ব্লগে অর্গানিক ট্রাফিক পেতে শুরু করবেন।

জেনে নেওয়া যাক আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল:

কিভাবে আপনার ব্লগে অর্গানি ট্রাফিক পাবেন?

লক্ষ্যযুক্ত অর্গানিক ট্র্যাফিক আপনার ব্লগের জন্য সবচেয়ে মূল্যবান বিষয়। কারণ, এটিই আপনাকে বাংলা ব্লগ সাইট থেকে প্রচুর টাকা আয় করতে সহযোগিতা করবে।

অর্গানিক ভিজিটরপেতে আমরা বেশ কয়েকটি বিষয়ে মনোযোগ দেওয়ার জন্য বলছি:

ভালো কন্টেন্ট তৈরি করুণ:

এটি আমি আগেও কয়েকবার বলেছি এবং এখনও বলছি। কারণ, ওয়েবসাইটের জন্য ভালো কন্টেন্ট অত্যেন্ত প্রয়োজনীয় উপাদান। এটি ছাড়া আপনার ওয়েবসাইট খুবই দূর্বল। কন্টেন্ট হচ্ছে সাইটের শক্তি।

সঠিকভাবে টেকনিক্যাল এসইও করুন:

সাইট গুগলে ইনডেক্স করার জন্য টেকনিক্যাল এসইও করা হয়। তাই এই বিষয়ে কখনও অবহেলা করা যাবেনা। টেকনিক্যাল এসইও না করলে আপনি যত ভালো কন্টেন্ট তৈরি করেন না কেন, গুগল তা বুঝতে পারবে না। ফলে আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক আসার সুযোগ থাকবেনা।

টেকনিক্যাল এসইও এর জন্য কি কি করতে হবে?

জেনে নেওয়া যাক, যেমন:

  • সাইট পেইজের স্ট্রাকচার
  • URL স্ট্রাকচার
  • HTML সাইট ম্যাপ
  • স্কিমা মার্কাপ ব্যবহার
  • ক্যাটাগরি অপটিমাইজেশন
  • পেইজ ট্যাগ অপটিমাইজেশন
  • সাইটের স্পীড অপটিমাইজ
  • ওয়েব মাস্টার টুল যুক্ত করতে হবে, ইত্যাদি।

অন-পেইজ এসইও সঠিকভাবে করুন:

On-Page SEO ব্লগের জন্য মৌলিক বিষয়। আপনার সাইটের ট্রাফিক বৃদ্ধি করতে অন-পেইজ এসইওর কোনো বিকল্প নেই। এই কাজ খুবই গুরুত্ব দিয়ে এবং সময় নিয়ে করতে হবে। এসইও করার সময় কোনো তাড়াহুড়ো করা যাবেনা।

On Page এসইও করতে কি কি করতে হবে?

চলুন জেনে নেওয়া যাক:

  • টাইটেল অপটিমাইজ
  • মেটা টাইটেল ডেসক্রিপশন অপটিমাইজ করুন
  • ৩০০ শব্দের বেশি শব্দ দিয়ে পোস্ট লিখুন
  • ছবি এবং ভিডিও অপটিমাইজ করুন
  • হেডিং ট্যাগ ব্যবহার করুন
  • পোস্টের ফরম্যাট ঠিক রাখুন
  • আউটবাউন্ট লিংক
  • ইন্টারনাল লিংক যুক্ত করা, ইত্যাদি।

অফ-পেইজ এসইও নিয়ে কাজ করুন:

আপনার অর্গানিক ট্র্যাফিক বাড়ানোর জন্য এপর্যন্ত আলোচিত সমস্ত কৌশলগুলোর চেয়ে ভিজিটর বৃদ্ধির জন্য অফ-পেইজ এসইও অত্যেন্ত জরুরি। সাইটের ভিজিটর বাড়াতে এই পদ্ধতি অনেক বড় ভূমিকা পালন করে।

অফ-পেইজ হচ্ছে একটা দীর্ঘ স্থায়ী প্রক্রিয়া। শুরু করে এটা শেষ করা যাবেনা।

অফ-পেজ এসইও :

আপনার কন্টেন্ট, প্রোডাক্ট এবং সার্ভিস সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ওয়েবে আপনার ওয়েবসাইট প্রচার করার প্রক্রিয়াকে অফ-পেজ এসইও বলা হয়।

অফ-পেজ এসইও কেন প্রয়োজন?

অন্য সাইটের রেফারেন্স লিংক ব্যবহার করে সার্চ ইঞ্জিনের কাছে বিশ্বস্ততা অর্জন করা, যেন ্যাঙ্কিং পেতে সাহায্য করে। ফলে বেশিপরিমাণ অর্গানিক ভিজিটর পাওয়া যায়। সর্বাধিক জনপ্রিয় এবং কার্যকর অফ-পেইজ এসইও পদ্ধতি লিংক বিল্ডিং।

লিঙ্ক বিল্ডিং কি এবং কেন এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ?

সার্চ ইঞ্জিন ্যাঙ্কিং অ্যালগরিদমগুলো সর্বদা ওয়েবসাইটের কোয়ালিটি বোঝার উপায় নিয়ে অনুসন্ধান করতে থাকে। যেকোনো সার্চ ইঞ্জিন এবং বিশেষ করে গুগলের কাছে ভালো কন্টেন্ট, সাইটের সাধারণ ডিজাইন রেফারেন্স লিংক বিশিষ্ট ওয়েবসাইটগুলোকে উচ্চমানের বলে বিবেচিত হয়। সবচেয়ে ভালো কন্টেন্ট বিশিষ্ট ওয়েবসাইটগুলো গুগল এবং অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনগুলো তাদের ব্যবহারকারীদের কাছে উপস্থাপন করে। যেন তাদের ব্যবহারকারিদের খুশি রাখতে পারেন।

লিঙ্ক বিল্ডিং একটি জটিল বিষয় এবং এটি ব্লগিংয়ের সূচনাপ্রাপ্তদের বুঝতে অসুবিধা হয়।  আমি এটি আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বুঝতে পেরেছি, চাইলে ইচ্ছে মতো লিঙ্ক বিল্ডিং করা যায় না।

এই পর্যায়ে লিঙ্ক বিল্ডিং সম্পর্কে আপনার যা জানা উচিত তা :

একটা সাইটের পোস্ট ্যাঙ্ক করার জন্য কতগুলো ব্যাকলিঙ্ক তৈরি করতে হবে তা জানা যায়না। তবে কিছু প্রিমিয়াম টুলস রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি একটা ধারণা পাবেন কতগুলো লিঙ্ক বিল্ডিং করা প্রয়োজন। আপনার টপিকের সাথে মিল আছে এমন যেসকল ওয়েবসাইটগুলোকে গুগল উচ্চ ্যাঙ্ক দিয়েছে সেই সব সাইট থেকে লিঙ্ক বিল্ডিং করা প্রয়োজন। লিংক বিল্ডিংয়ের জন্য অবশ্যই আপনার হোয়াইট হাট পদ্ধতি ব্যবহার করা উচিত।

লিঙ্ক বিল্ডিংয়ের মাধ্যমে কিভাবে আপনার ব্লগের ট্র্যাফিক বাড়ানো যায়?

সর্বাধিক জনপ্রিয় লিঙ্ক বিল্ডিং পদ্ধতিগুলি :

অতিথি পোস্ট করে ব্যাকলিঙ্ক তৈরি।

  • আপনার ওয়েবসাইটের বিষয়ের সাথে মিল আছে এমন ওয়েবসাইটে অতিথি পোস্ট করার মাধ্যমে ব্যাকলিংক তৈরি করা যায়।
  • ভালো সম্পর্কে মাধ্যমে আপনার পরিচিত ওয়েবসাইট মালিকদের সাহায্যের মাধ্যমে ব্যাকলিঙ্ক করা যায়।
  • ফোরাম পোস্ট করে খুব সহজে ব্যাকলিঙ্ক পাওয়া যায়।
  • এছাড়াও আরো অনেকগুলো পদ্ধতি রয়েছে।

০৪: আপনার ব্র্যান্ডের চারপাশে একটি কমিউনিটি তৈরি করুন:

একবার দুর্দান্ত কন্টেন্টসহ একটি ব্লগ তৈরি হয়ে গেলে এবং ট্র্যাফিক পেতে শুরু করলে। আপনার পরবর্তী পদক্ষেপটি আপনার ব্র্যান্ডের চারদিকে একটি কমিউনিটি তৈরি করা।
নতুনদের জন্য এটি একটি কমন ভুল, যা প্রাথমিকভাবে নতুনরা করে থাকেন। তা হল এই পদক্ষেপটিকে নতুনরা গুরুত্বপূর্ণ মনে করেনা। ফলে সফলতার পথ থেকে দূরে সরে যায়। সরাসরি অর্থোপার্জনের অংশে যাওয়া চেষ্টা না করে একটা কমিউনিটি তৈরি করা নতুনদের জন্য সঠিক কাজ।

একটি ব্লগের জন্য কমিউনিটি বিল্ডিং কী?

সাধারণ কথায়, আপনার লেখা পড়ার জন্য অপেক্ষা করছে এবং আপনাকে ভালোবাসে এমন জনবল নিয়ে একটা গ্রুপ তৈরি করা।

এটি করার সর্বাধিক সাধারণ উপায়গুলি :

ইমেল মার্কেটিং করুন:

ব্লগিংয়ের জন্য ইমেইল মার্কেটিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ইমেল তালিকায় সাবস্ক্রাইব করা লোকেরা আপনার ব্লগের একটি মূল্যবান সম্পদ। আপনি যখন আপনার ব্লগে নতুন পোস্ট প্রকাশ করবেন, তখন তাদেরকে জানাতে, তাদের মতামত জানতে এবং তাদের পণ্য বা পরিষেবা বিক্রয় করার জন্য আপনার ইমেল তালিকাটি ব্যবহার করতে পারেন।

ইমেইল পৌছালে প্রথম দিন থেকে সেল জেনারেট করতে পাবেন না। আপনাকে প্রথমে আপনার ইমেলগুলির মাধ্যমে তথ্য দিয়ে তাদের বিশ্বাস অর্জন করতে হবে। এভাবে নিয়মিত তাদেরকে আপনার ব্লগের প্রতি মনোযোগি করতে হবে। আমার ক্ষেত্রে, আমার অ্যাফিলিয়েট আর্নিয়ের মাসিক বিক্রয়ের 20%, আমার ইমেল তালিকার মাধ্যমে উৎপন্ন হয়।

সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্কিং করুন:

Social Media Networking


কিছু লোক ইমেল পেতে পছন্দ করেন না। তারা তাদের সংবাদ পড়তে, তাদের বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করতে এবং সাধারণত তাদের বেশিরভাগ সময় অনলাইনে ব্যয় করতে সামাজিক নেটওয়ার্কগুলো ব্যবহার করতে পছন্দ করেন। আপনার টার্গেটেড ক্লায়েন্টদের ব্লগ সাইটে ভিজিট করানোর জন্য সোস্যাল কমিউনিটিতে তাদের একত্রিত করুন। এমন অনেকগুলি সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্ক রয়েছে, যা আপনি ব্যবহার করতে পারেন।

মনে রাখবেন, আপনার লক্ষ্য থাকবে এমন লোকদের সাথে সংযোগ স্থাপন করা। যারা আপনার ব্লগের সম্ভাব্য ভিজিটর এবং গ্রাহক হয়ে উঠতে পারে বলে মনে হয়।

ওয়েব পুশ নোটিফিকেশন ব্যবহার করুন:

আপনার কমিউনিটি বৃদ্ধির জন্য এটি আরেকটি উপায়। পুশ নোটিফিকেশনের জন্য নিবন্ধভুক্ত লোকদের প্রতিবারই একটি নতুন পোস্ট প্রকাশিত হওয়ার পর আপনি তা তাদের নোটিফিকেশন পাঠাবেন তা অভিহিত করুন।

কমেন্ট করার সুযোগ দিন:

আপনার ব্লগ পোস্ট পড়ার পরে পাঠকদের মতামত জানানোর সুযোগ দিতে কমেন্ট বাক্স যুক্ত করুন। এটি আপনার ভিজিটরদের মনের কথা প্রকাশ করতে স্বাধীনতা প্রদান করে।

০৫: বিজ্ঞাপন বিক্রি করে অর্থোপার্জন শুরু করুন:

আপনি কি খেয়াল করেছেন যে অর্থোপার্জনের অংশটি পেতে আপনাকে কতগুলো কাজ করতে হয়েছে? এই ব্লগ পোস্টটি আপনার ব্লগ থেকে অর্থোপার্জনের বিষয়ে আপনাকে প্রচুর সাহায্য করবে। আপনাকে বুঝতে হবে যে, আপনি নিজের ব্লগ থেকে ততক্ষণ পর্যন্ত অর্থ উপার্জন করতে পারবেন না, যতক্ষণ পর্যন্ত আপনার পর্যাপ্ত অর্গানিক ট্রাফিক আসবেনা।

আমি ধরে নিচ্ছি যে, আপনি উপরের কাজগুলো সফলভাবে শেষ করেছেন। এখন জেনে নিন। কিভাবে আপনি অনলাইনে অর্থ উপার্জন করতে পারেন এবং আপনার এতোদিনের কঠোর পরিশ্রমের জন্য নিজেকে কিভাবে পুরস্কৃত করবেন।

বিজ্ঞাপন স্পেস বিক্রয় করে গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয় করুন:

আমি সবসময় অ্যাডসেন্সের মজা স্বীকার করি বছরেরও বেশি সময় ধরে আমি অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে অনলাইন থেকে আয় করছি। ইনকাম করার আরও অনেকগুলো বিকল্প থাকলেও গুগল অ্যাডসেন্স অনলাইনে অর্থোপার্জন করার অন্যতম সেরা উপায়। আমি আমার ব্লগে অ্যাডসেন্স ব্যবহার করছি এবং পাশাপাশি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা উপার্জন করেছি।

অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে অর্থোপার্জন সম্পর্কে আপনার কয়েকটি বিষয়ে জানা উচিত:

এটি সহজ এবং নির্ভরযোগ্য উপায়:

অ্যাডসেন্স ব্যবহার করা খুব সহজ এবং নির্ভরযোগ্য। আপনার যা দরকার তা দুর্দান্ত কন্টেন্ট এবং প্রচুর ট্র্যাফিক সহ একটি ব্লগ। আপনি আপনার ব্লগে অ্যাডসেন্স যুক্ত করেছেন এবং লোকেরা যখন আপনার ব্লগের কোনো বিজ্ঞাপনে ক্লিক করেন আপনি বিজ্ঞাপনদাতাদের প্রদত্ত ৬৮% অর্থ পাবেন (বাকী ৩২% এই পরিষেবা পরিচালনা করার জন্য গুগলে যায়) এটি নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি। কারণ, আপনি জানেন যে গুগল আপনাকে সময়মতো অর্থ প্রদান করবে এবং সিস্টেমটিকে জালিয়াতি এবং স্প্যাম থেকে রক্ষার জন্য তারা আপনাকে সহায়তা করবে।

  • ব্লগে কি ধরণের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করতে হবে?
  • কতবার প্রদর্শন করা হবে?
  • বিজ্ঞাপনগুলো কিভাবে প্রদর্শিত হবে? তা আপনি পছন্দ করতে পারেন।

আপনি অ্যাডসেন্স থেকে কত টাকা উপার্জন করতে পারেন?

অ্যাডসেন্স থেকে আপনি কি পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারবেন তা তিনটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে:

1.    অর্গানিক ট্রাফিকের পরিমাণের উপর নির্ভর করে

2.    সঠিক জায়গায় বিজ্ঞাপন বসালে এবং

3.    বিজ্ঞাপনের পরিমাণের উপর।

কখন অ্যাডসেন্স ব্যবহার করা আপনার জন্য সেরা হবে?

নিউজ পোর্টাল, ম্যাগাজিন, সংবাদপত্র, ফোরাম, ইত্যাদি। এমন ওয়েবসাইটে অ্যাডসেন্স ব্যবহার করুন। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন নিশ (ফিটনেস ব্লগ, ওজন হ্রাস, ইত্যাদি) ওয়েবসাইটে অ্যাডসেন্স ব্যবহার করুন। প্রচুর ভিজিটর রয়েছে এমন ওয়েবসাইটগুলিতে অ্যাডসেন্স ব্যবহার করুন।

০৬: আপনার নিজের পণ্য বা পরিষেবা বিক্রি করে অর্থোপার্জন করুন:

আমি উপরে উল্লেখ করেছি ব্লগে অ্যাডসেন্স ব্যবহার করে আয় করার বিষয়ে। তবে আমার এই গাইডলাইনের উদ্দেশ্যটি বিজ্ঞাপন থেকে অর্থোপার্জন নয়। আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এসইও কোর্স এবং ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের পরিষেবাদি প্রচার করে বা নিজের কোনো ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রি করে আয় করার জন্য আমার গাইডলাইন শেয়ার করছি। কারণ, এই পদ্ধতিতে আপনি অ্যাসেন্সের গুণ বেশি টাকা আয় করতে পারেন।

একটু চিন্তা করুন: আপনি যখন নিজের ব্লগে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয় করেন তখন কি হয়?

আপনি কেবল অর্থের একটি অংশ পান, যেহেতু ৩০% বিজ্ঞাপন পরিচালনাকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে যায়। আর বিজ্ঞাপন পরিচলনাকারি প্রতিষ্ঠান আপনার কন্টেন্ট এবং কঠোর পরিশ্রম থেকে অনেক বড় একটা অংশ আয় করছে। আপনার ইনকামের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে আপনার নিজের পণ্য বা পরিষেবাদি তৈরি করে বিক্রয় করা উচিত। এতে আপনি লাভের সম্পূর্ণ অংশ পাবেন। অবশ্যই এটি শোনতে সহজ মনে হচ্ছে। কিন্তু আপনার যদি দক্ষতা এবং ধর্য্য না থাকে, তাহলে গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে আপনি অর্থোপার্জন করুন।

আপনার যদি দক্ষতা থাকে, তাহলে নিজের পণ্য সেবা বিক্রি করুন। নিজের পণ্য বিক্রির আইডিয়াটা একটি দীর্ঘস্থায়ী অনলাইন ব্যবসা-বাণিজ্য গড়ে তোলার সেরা উপায়।

০৭: অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে অর্থোপার্জন করুন:

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে অর্থোপার্জন করুন

ব্লগিং থেকে উপার্জনের জন্য এটি আমার কাছে সেরা একটি মাধ্যম। ব্লগ থেকে অর্থোপার্জনের আরেকটি সেরা উপায় , অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে কমিশনের আয় করা।
এই পদ্ধতি সাধারণত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হিসাবে পরিচিত।

এটা শুরু করার কিছু ধাপ জেনে নেওয়া যাক:

  • আপনি কোন পণ্য প্রচার করতে চান তা খুঁজে বের করুন
  • আপনি তাদের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রামের জন্য রেজিষ্ট্রেশন করুন (আবেদন গ্রহণ হলে একটি আনইউনিক লিঙ্কটি এবং ব্যানার পাবেন।)
  • আপনার ব্লগে লিঙ্ক/ব্যানার যুক্ত করুন
  • যখন কেউ লিঙ্কে ক্লিক করে কোনো সার্ভিস ক্রয় করবে তখন তারা আপনার সাথে কমিশন ভাগ করবে।

ভাল লাগছে তাই না?

ঠিক আছে, এটি যতটা শোনতে সহজ মনে হচ্ছে তত সহজ নয়। প্রচারের জন্য আপনাকে প্রথমেই সঠিক পণ্যগুলোর সন্ধান করতে হবে। আপনার পাঠক এবং কমিউনিটিতে আপনার প্রস্তাবিত পণ্যগুলো কেনার জন্য অর্থ প্রদান করতে রাজি আছে কি-না পরীক্ষা দেখতে হবে। যদি আপনার সন্তোষজনক ফলাফল আসে তাহলে দীর্ঘস্থায়ী কাজ শুরু করা উচিত।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে আসার আগে কিছু জিনিস জানতে হবে:

আপনি ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করেন না, এমন পণ্য বা পরিষেবাগুলোর প্রচার করবেন না। যদি আপনি আপনার ব্যবহারকারীর আস্থা হারাতে না চান। শুধুমাত্র ব্যক্তিগত পণ্য থেকে আপনার পরিচিত পণ্যগুলো প্রচার করুন যা আপনার পাঠকদের সহায়তা করবে। গুগল ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইটগুলো অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক ব্যবহার করে অর্থোপার্জন করা পছন্দ করে না।

এজন্য আপনার ওয়েবসাইটটি খুব বেশি প্রচারমূলক না করে ব্যবহারকারীর কাছে আসল মান সরবরাহ করে এমনভাবে কাজ করা উচিত। আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করে থাকেন, তাহলে আপনি আপনার অ্যাফিলিয়েট লিংকগুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করতে অনেক সুবিধা পাবেন।

কিভাবে ব্লগিং শুরু করবেন? প্রশ্নটির উত্তর কি পেয়েছেন?

আশা করি, কিভাবে ব্লগিং শুরু করবেন? প্রশ্নটির উত্তর পেয়েছেন। ব্লগিং থেকে অর্থোপার্জন করা কোন থিউরিরেটিক্যাল কাজ নয়। হাজার হাজার ব্লগার গুগল বিজ্ঞাপনের ব্যবহার না করে, তাদের নিজস্ব পণ্য/পরিষেবাদি বা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে অর্থোপার্জন করছে।

ব্লগিং ওয়েবসাইট তৈরি করিয়ে নিতে এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে প্রিমিয়াম সাপোর্ট পেতে যোগাযোগ করুণ 

আরোও বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুনঃ  বাংলা ব্লগ 


Tags:

Blogginglocal seooff page seoon page seosearch engine marketingSEOseo agencyseo analyzerseo companyseo consultantseo expertseo marketingseo optimizationseo servicesseo specialistwordpress seoএসইওএসইও করে আয়এসইও টিউটোরিয়ালএসইও বাংলা টিউটোরিয়ালএসইও শিখুনকিভাবে ব্লগ সাইট শুরু করবেনকিভাবে ব্লগিং শুরু করবেনব্লগ সাইটব্লগিংব্লগিং শুরু করবেনসার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন


তথ্য সংগ্রহে এবং ব্যাবস্থাপনায়: tonmoykunduit

Post a Comment

0 Comments